Header Ads

Header ADS

৩৭তম বিসিএস প্রিলি প্রস্তুতিঃ সংবিধান



প্রিলি প্রস্তুতিঃ বাংলাদেশ বিষয়াবলি(সংবিধান)

আরো দেখুন : বিসিএস প্রস্তুতি : সংবিধান নিয়ে ১০০ প্রশ্ন

বিসিএস পরীক্ষায় সংবিধান থেকে ৩ মার্কসের প্রশ্ন হবে। অন্যান্য সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় ও সংবিধান থেকে প্রশ্ন আসে। আসুন আজ সংবিধানের বিস্তারিত জেনে নিই। উল্লেখ্য, আমার এই নোটটা শুধু তাদের জন্য যারা একাধিক বই কিনে,ইন্টারনেট থেকে তথ্য নিয়ে দীর্ঘসময় ধরে নোট করতে পারেনা।



=> সংবিধান হল রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন।
সংবিধান ২ ধরনের হয়ে থাকে-লিখিত ও অলিখিত।
বাংলাদেশের সংবিধান একটি লিখিত সংবিধান।
এতে ১১টি ভাগ,১৫৩টি অনুচ্ছেদ, ৪টি মূলনীতি এবং ৭টি তফসিল রয়েছে।

=> রাষ্ট্রপতি সংবিধান প্রনয়নের জন্য 'বাংলাদেশ গণপরিষদ আদেশ 'জারি করেন ২৩মার্চ ১৯৭২সালে। সংবিধান রচনা কমিটির সদস্য ছিলেন ৩৪জন। এ কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন ড. কামাল হোসেন। সংবিধান রচনা কমিটির একমাত্র মহিলা সদস্য রাজিয়া বানু এবং একমাত্র বিরোধী দলীয় সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত (ন্যাপ-মোজাফফর)।

=> " খসড়া সংবিধান"গণপরিষদে উত্থাপিত হয় ১২অক্টোবর ১৯৭২ সালে,উত্থাপন করেন ড.কামাল হোসেন। সংবিধান গৃহীত হয় ৪নভেম্বর ১৯৭২সালে এবং কার্যকর হয় ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২। ৪ নভেম্বরকে বলা হয় সংবিধান দিবস। হস্তলিখিত সংবিধানের মূল লেখক ছিলেন শিল্পী আব্দুর রউফ,সংবিধানের কারুকাজ করেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন। বাংলাদেশের হস্তলিখিত সংবিধান ছিল ৯৩ পাতার। সংবিধান গৃহীত হওয়ার সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। হস্তলিখিত সংবিধানে সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত স্বাক্ষর করেননি।

=> গণপরিষদের সদস্য ছিল ৪০৩ জন। রাষ্ট্রপতি গণপরিষদ আহবান করেন ১০ এপ্রিল ১৯৭২। গণপরিষদের স্পিকার ছিলেন শাহ আবদুল হামিদ এবং ডেপুটি স্পিকার ছিলেন মোহাম্মদ উল্লাহ। বাংলাদেশ থেকে নির্বাচিত জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যের সমন্বয়ে গণপরিষদ গঠিত হয়। জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচিত সদস্য ছিল ৪৬৯ জন (জাতীয় পরিষদের ১৬৯+প্রাদেশিক পরিষদের ৩০০জন)। গণপরিষদের প্রথম অধিবেশনের সভাপতি ছিলেন মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশ। গণপরিষদের কার্যক্রম শুরু হয় ৪০৩ জন সদস্য নিয়ে (বিভিন্ন কারনে ৬৬জন গণপরিষদের বাইরে থাকেন।
সংবিধানের কিছু গুরুত্বপুর্ন অনুচ্ছেদঃ

=> জাতির পিতার প্রতিকৃতিরর কথা উল্লেখ আছে ৪ক অনুচ্ছেদে।
=> সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান (অনুচ্ছেদ ২৭)।
=> নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ আলাদা করা হয় ২২নং অনুচ্ছেদ অনুসারে।
=> বাকস্বাধীনতার কথা উল্লেখ আছে ৩৯(২)ক অনুচ্ছেদে।
=> নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা উল্লেখ আছে ১১৮নং অনুচ্ছেদে।
=> সরকারি কর্ম কমিশন গঠনের কথা উল্লেখ আছে ১৩৭নং অনুচ্ছেদে।
=> বাংলাদেশে ৯টি সাংবিধানিক পদ ও ৫টি সাংবিধানিক সংস্থা রয়েছে।
=> জাতীয় সংসদের কোন সদস্য একাধারে ৯০কার্যদিবস অনুপস্থিত থাকলে তার সংসদ সদস্য পদ বাতিল হয়ে যায়।
=> সংসদের এক অধিবেশনের সমাপ্তি ও পরবর্তী অধিবেশনের বৈঠকের বিরতি ৬০ দিনের বেশি হবেনা।
=> সংসদ কর্তৃক গৃহীত বিল রাষ্ট্রপতির নিকট সম্মতির জন্য পাঠানো হলে তিনি তাতে ১৫ দিনের মধ্যে সম্মতি দান করবেন।
=> জাতীয় সংসদ ৩৫০ জন সদস্য নিয়ে গঠিত হবে। তার মধ্যে ৩০০ জন জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে এবং বাকি ৫০ টি আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত।
=> সংবিধানের ৭৭নং অনুচ্ছেদে ন্যায়পালের কথা উল্লেখ আছে।
=> সংবিধানের ৩য় ভাগে মৌলিক অধিকারের কথা উল্লেখ আছে।
=> জাতীয় সংসদের স্থপতি লুই আই কান।
এই তথ্যগুলো নেয়া হয়েছে- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান, প্রফেসরস, এসিউরেন্স, ওরাকল,জব পাবলিকেশন্স, জেনুইন,প্রিজম ইত্যাদি প্রকাশনীর বই ও উইকিপিডিয়া থেকে। যেহেতু অনেক বইয়ের মিশ্রনে এই নোটটি তৈরি সুতরাং এই নোট পড়া আর লাইব্রেরির সব বই পড়া সমান। তবে যারা নিজে নোট করে পড়তে পারেন,তারা এই নোট না দেখলেও চলবে।
বিঃদ্রঃ আগামী পর্বে থাকবে সংবিধানের সংশোধন নিয়ে আলোচনা। আশা করি আমার সংবিধানের ২ পর্ব থেকে আগামী যেকোন নিয়োগ পরীক্ষায় সংবিধান সম্পর্কিত প্রশ্নের পুরোটাই কমন পাবেন। পরীক্ষা দিবেন আর প্রশ্নের সাথে আমার এই নোটটি মিলিয়ে নিবেন।

লিখেছেন: সত্যজিৎ চক্রবর্ত্তী

আরো দেখুন : বিসিএস প্রস্তুতি : সংবিধান নিয়ে ১০০ প্রশ্ন

Powered by Blogger.