দেশ পরিচিতি : ডোমিনিকা
ক্যারিবীয় সাগরে অবস্থিত দ্বীপরাষ্ট্র ডোমিনিকা। একসময় ফ্রান্সের উপনিবেশ ছিল। পরে ব্রিটিশদের দখলে চলে যায়। স্বাধীনতা লাভ করে ১৯৭৮ সালে। অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেশ এটি। বেশ কয়েকটি জীবন্ত আগ্নেয়গিরি রয়েছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফুটন্ত পানির হ্রদ রয়েছে এ দেশটিতেই। আছে বহু বিরল গাছগাছালি, প্রাণী আর পাখি। অর্থনৈতিকভাবে পর্যটন ও কৃষির ওপর নির্ভরশীল। প্রাকৃতিক সম্পদে খুব একটা সমৃদ্ধ নয়। অতীতে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো বাণিজ্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা করত। বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার চাপের কারণে সহযোগিতা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়। পর্যটনই উপার্জনের মুখ্য ক্ষেত্র হওয়ার পরও দেশটির অবকাঠামো খুব একটা উন্নত নয়। পাশাপাশি দেশটি ঘূর্ণিঝড়প্রবণ। বড় বিমানবন্দরও নেই। বড় বিমানবন্দর তৈরির ক্ষেত্রে মূল প্রতিবন্ধকতা হলো প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার ভয়। বিমানবন্দর হলে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়বে, যা দেশটির প্রকৃতিতে ভারসাম্যহীন করে তুলতে পারে। ক্যারিবীয় রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ডোমিনিকায় অপরাধের হার তুলনামূলক বেশ কম। যদিও দেশটি বেশ গরিব।
পুরো নাম : কমনওয়েথ অব ডমিনিকা।
রাজধানী ও সবচেয়ে বড় শহর : রোসৌ।
সরকারি ভাষা : ইংরেজি।
জাতিগোষ্ঠী : কৃষ্ণাঙ্গ (৮৫%), মিশ্র (১০%), কালিনাগো (৩.৫%), ইউরোপীয় (.৮%), অন্যান্য (.৭%)।
সরকার পদ্ধতি : ইউনিটারি পার্লামেন্টারি রিপাবলিকান।
প্রেসিডেন্ট : চার্লস সাভারিন।
প্রধানমন্ত্রী : রুজভেল্ট স্কেরিট।
আইনসভা : হাউস অব অ্যাসেম্বলি।
আয়তন : ৭৫০ বর্গকিলোমিটার।
জনসংখ্যা : ৭২ হাজার ৩২৪ জন।
ঘনত্ব : প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১০৫ জন।
জিডিপি : মোট ১.০০২ বিলিয়ন ডলার।
মাথাপিছু : ১৪ হাজার ১৬৬ ডলার।
মুদ্রা : ইস্ট ক্যারিবিয়ান ডলার।
জাতিসংঘে যোগদান : ১৮ ডিসেম্বর ১৯৭৮।