Header Ads

Header ADS

৩৭তম বিসিএস প্রিলি প্রস্তুতিঃ বাংলা

প্রিলি প্রস্তুতিঃ বাংলা (ধ্বনি ও বর্ণ )

বিসিএস পরীক্ষায় বাংলা ব্যাকরণ অংশে ১৫ মার্কস আছে। ব্যাকরণের আজকের আলোচনার বিষয় ধ্বনি। প্রথমেই আপনাদের কাছে একটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছি। নিচে "ধ্বনি ও বর্ণ "নিয়ে যে কথাগুলো বলব সেখান থেকে বিসিএস সহ যেকোন নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন কমন পাবেনই পাবেন। অর্থাৎ এই টপিকটা থেকে আগামী যেকোন নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন আসবে।

আপনারা যারা বিভিন্ন প্রকাশনীর বই, ইন্টারনেট, উইকিপিডিয়া এবং পত্রিকা এতগুলো একসাথে পড়ার সময় পাননা,তাদের পড়ার দায়িত্ব আমি নিলাম। বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্য নিয়ে একটা মানসম্মত নোট তৈরি করে আপনাদের দিব। আপনাদের কাজ এই নোটগুলো ভালভাবে আয়ত্ত্ব করা। যেহেতু তথ্যের সব জায়গায় বিচরন করে এই নোট তৈরি করলাম,সুতরাং এই নোটের পাঠক হিসেবে আপনি নিশ্চিত থাকেন আপনি না পারলে অনেকেই পারবেনা। কারণ যারা পারবেন তারা যে বই,নেট,উইকিপিডিয়া থেকে পড়েছেন তার সব উপাদান আমার সকল পর্বের নোটে বিদ্যমান।

=> বাংলা ভাষায় মৌলিক ধ্বনিগুলোকে ২ভাগে ভাগ করা হয়ঃ স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনি
=> ধ্বনি নির্দেশক চিহ্নকে বর্ণ বলে।
=> যে বর্ণমালায় বাংলা ভাষা লিখিত হয়, তাকে বলা হয় বঙ্গলিপি।
=> বাংলা বর্ণমালায় মোট ৫০টি বর্ণ রয়েছে। তার মধ্যে ৩৯টি ব্যঞ্জনবর্ণ ও ১১টি স্বরবর্ণ।
=> ঐ, ঔ- এ দুটি দ্বিস্বর বা যুগ্ম স্বরধ্বনির প্রতীক।
=> স্বরবর্ণের সংক্ষিপ্ত রুপকে "কার " ও ব্যঞ্জনবর্ণের সংক্ষিপ্ত রুপকে "ফলা " বলে। "কার " আছে ১০টি এবং ফলা আছে ৬টি।
=> ক থেকে ম পর্যন্ত ২৫টি স্পর্শধ্বনি। এগুলোকে ৫টি বর্গে ভাগ করা যায়।
=> ৎ-কে স্বতন্ত্র বর্ণ হিসেবে ধরা হয়না।
=>ং(অনুস্বার),ঃ(বিসর্গ), ঁ(চন্দ্রবিন্দু) কে পরাশ্রয়ী বর্ণ বলে।
=> বাংলা ভাষায় যৌগিক স্বরধ্বনির সংখ্যা ২৫টি।
=> বাংলা বর্ণমালায় যৌগিক স্বরজ্ঞাপক বর্ণ আছে ২টিঃ ঐ,ঔ।
=> স্পর্শ ব্যঞ্জনধ্বনিগুলোকে ২ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ অঘোষ ও ঘোষ।
=> যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্রী অনুরণিত হয় না, তাকে অঘোষ ধ্বনি বলে। আর যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্রী অনুরণিত হয় , তাকে ঘোষ ধ্বনি বলে।
=> যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় বাতাসের চাপের স্বল্পতা থাকে(যেমন ক,গ,চ...) তাকে অল্পপ্রাণ ও
যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় বাতাসের চাপের আধিক্য (যেমন খ,ঘ,ছ..) থাকে, তাকে মহাপ্রাণ ধ্বনি বলে।
মনে রাখার সহজ পদ্ধতিঃ বর্গের ১ম,৩য়,৫ম ধ্বনিকে বলা হয় অল্পপ্রাণ। ২য় ও ৪র্থ ধ্বনিকে বলা হয় মহাপ্রাণ।
=> শ,ষ,স,হ এগুলোকে বলা হয় উষ্মধ্বনি বা শিশধ্বনি। শ,ষ,স অঘোষ অল্পপ্রাণ এবং 'হ ' ঘোষ মহাপ্রাণ।
=> বাংলায় 'আ ' একটা বিবৃত স্বর। 'অ ' হল নিলীন বর্ণ।
=> এ-ধ্বনির উচ্চারণ ২ রকমঃ সংবৃত ও বিবৃত।
=> 'ল ' পার্শ্বিক ধ্বনি,'র ' কম্পনজাত ধ্বনি,'ড়, ঢ় ' তাড়নজাতধ্বনি।
=> বাংলায় নাসিক্য ধ্বনি ৫টি। নাসিক্য বর্ণের অপর নাম আনুনাসিক বা সানুনাসিক।
=> পাশাপাশি দুটো স্বরধ্বনি একঅক্ষর হিসেবে উচ্চারিত হলে তাকে যৌগিক স্বরধ্বনি বলে।
=> ভাষার ক্ষুদ্রতম একক ধ্বনি।
=> অঘোষ 'হ ' ধ্বনির বর্ণরুপ-ঃ(বিসর্গ)
=> বর্ণ হল ধ্বনি নির্দেশক প্রতীক।
=> বাংলা বর্ণমালায় পূর্ণমাত্রার বর্ণ ৩২টি (স্বরবর্ণ ৬+ব্যঞ্জনবর্ণ ২৬), অর্ধমাত্রার বর্ণ ৮টি (স্বরবর্ণ ১+ব্যঞ্জনবর্ণ ৭) ও মাত্রাহীন বর্ণ ১০টি (স্বরবর্ণ ৪+ব্যঞ্জনবর্ণ ৬) ।
=> বাংলা বর্ণমালায় হ্ররস্ব স্বর ৪টি -অ,ই,উ,ঋ।
=> মৌলিকস্বর ৭টি, যৌগিকস্বর ২টি
=> যৌগক স্বরধ্বনিকে দ্বিস্বর বা সন্ধিস্বর বা যৌগিকস্বর বলে।
=> বাংলা বর্ণমালায় দীর্ঘস্বর ৭টি- আ,ঈ,ঊ,এ,ঐ,ও,ঔ।


কিছু যুক্তবর্ণঃ
আপনি প্রায় সবযুক্ত বর্ণই চিনেন। আমি শুধু সেগুলোই দিচ্ছি যেগুলোতে অনেকের কনফিউশন থাকে।
=>ক্ষ =ক+ষ (রক্ষা), হ্ম =হ+ম (ব্রহ্ম), ঙ্গ= ঙ+গ (অঙ্গ),ত্থ=ত+থ (উত্থান), ষ্ণ=ষ+ণ (উষ্ণ), হ্ন =হ+ন (মধ্যাহ্ন), হ্ণ =হ+ণ (অপরাহ্ণ)।

এই টপিকটা ভাল করে আত্মস্থ করুন। চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি যেকোন নিয়োগ পরীক্ষা দিবেন আর আমার এই টপিকে যা যা দিলাম তার সাথে প্রশ্ন মিলিয়ে নিবেন। চ্যালেঞ্জ প্রশ্ন কমন এখান থেকে পাবেনই পাবেন। যে কেউ চাইলে আমার এই নোটটা এড়িয়ে গিয়ে নিজের মত করেও ভাল প্রস্তুতি নিতে পারেন। প্রস্তুতি নেওয়াটাই আসল কথা। এখনই একটা জব সলিউশন হাতে নিন। আর বাংলাদেশের ইতিহাসে এ পর্যন্ত যতগুলো প্রশ্ন "ধ্বনি ও বর্ণ "থেকে হল তার মধ্যে সব প্রশ্নের সমাধান আমার এই টপিকে আছে কি না মিলিয়ে নিন। আগামীতে ও এখান থেকে অবশ্যই কমন পাবেন। পরীক্ষা দিবেন আর আমার টপিকগুলো মিলিয়ে নিবেন।

লিখেছেনঃ সত্যজিৎ চক্রবর্ত্তী
Powered by Blogger.