Header Ads

Header ADS

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৭০০ পদ ফাঁকা পদে শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব

দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক-সংকট দূর করতে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। তবে উত্তীর্ণদের মধ্যে যাঁরা ক্যাডার পদে সুপারিশপ্রাপ্ত নন, কেবল তাঁদেরই সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে এই প্রস্তাব পাঠিয়েছে মাউশি।

জানতে চাইলে মাউশির মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুন বলেন, শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ায় সরকারি বিদ্যালয়গুলোয় খুবই খারাপ অবস্থা। সংকট দিনে দিনেই বাড়ছে। এ জন্য তাঁরা দ্রুত নিয়োগের জন্য এই প্রস্তাব দিয়েছেন।

এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, মাধ্যমিকের শিক্ষক-সংকট দূর করতে তাঁরা কাজ করছেন। এখন কাজটি পরিপূর্ণ করা হবে। এ জন্য যা যা প্রয়োজন, তা-ই করা হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো মাউশির প্রস্তাবে বলা হয়, বর্তমানে ৩৩৩টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১ হাজার৭০৩টি সহকারী শিক্ষকের পদ ফাঁকা। সহকারী শিক্ষকের অনুমোদিত পদ ১০ হাজার ৬টি। সবচেয়ে বেশি সমস্যা ইংরেজি, গণিত ও বাংলা বিষয়ে। বাংলায় ২৭২, ইংরেজিতে ২৭২ ও গণিতে ২০৪টি সহকারীশিক্ষকের পদ শূন্য। অথচ ইংরেজি ও গণিতেই বেশি সমস্যা হয় শিক্ষার্থীদের। সামাজিক বিজ্ঞান, ভৌতবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষায় ১৩৬টি করে পদ শূন্য। ভূগোল, কৃষিশিক্ষা এবং চারু ও কারুকলা বিষয়ের প্রতিটিতে ৬৮টি করে পদ শূন্য। এ ছাড়া ইসলাম ধর্মে ফাঁকা ১৩৯টি পদ।

মাউশির একাধিক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদেসর্বশেষ ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে ওই বছরের ১৫ মে সরকারি মাধ্যমিকবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের পদ তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড পদমর্যাদায় উন্নীত করা হয়। এরফলে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের জন্য নিয়োগবিধি সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। কারণ, দ্বিতীয়শ্রেণির কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হয় সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে। কিন্তু গত চার বছরেওনিয়োগবিধি চূড়ান্ত করতে পারেনি সরকার। তাই নিয়োগও আটকে আছে। এ কারণে সংকটও বাড়ছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাউশির একাধিক কর্মকর্তা বলেন, নিয়োগবিধি সংশোধনের বিষয়টি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ও অর্থ মন্ত্রণালয় হয়ে এখন সচিব কমিটির চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য বিবেচনাধীন। কিন্তু এত দিনেও নতুনশিক্ষক নিয়োগ না হওয়ায় সারা দেশের স্কুলগুলোতে শ্রেণি কার্যক্রম মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে।

বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি গত রোববার শিক্ষক-সংকট দূর করার দাবি জানিয়েশিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের কাছে স্মারকলিপি দেয়। এ বিষয়ে সমিতির সভাপতি মো. ইনছান আলী বলেন, সারা দেশের স্কুলগুলোতে শিক্ষক-সংকটের কারণে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। শুধুসহকারী শিক্ষকই নন, অনেক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদও ফাঁকা। এ জন্য দ্রুতশিক্ষক নিয়োগ করা না গেলে সমস্যা আরও তীব্র হবে।
Powered by Blogger.