Header Ads

Header ADS

ভারত-পাকিস্তান উভয়েই তাদের সীমারেখা জানে

ব্রিগেডিয়ার জেনারেলজাহাঙ্গীর আলম(অব.)।।

সর্বশেষ খবরহল, ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীররাজ্যের নিয়ন্ত্রণরেখায়পাকিস্তানি রেঞ্জারসবা আধাসামরিকবাহিনীর সাতসদস্যকে গুলিকরে হত্যারকথা জানিয়েছেভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী(বিএসএফ)পাকিস্তনি কর্তৃপক্ষঅবশ্য হতাহতের খবরউড়িয়ে দিয়েবলেছে, পাকিস্তানিরেঞ্জারস হত্যাসংক্রান্তভারতীয় পক্ষেরদাবি সম্পূর্ণভুয়া। তবেকাশ্মীরের ঘরেঘরে ভারতীয়বাহিনীর তল্লাশি গ্রেফতারেরঘটনা উড়িয়েদেয়ার উপায়নেই। আরএসবই যেসংঘটিত হচ্ছেউরিপার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায়, তাবলাইবাহুল্য। কাশ্মীরএলাকায় যেখানেখঙঈ অর্থাৎলাইন-অব-কন্ট্রোল(অস্থায়ী বর্ডার), সেখানে পৌঁছতেসর্বশেষ শহরহল উরি।কামান পোস্টেযেতে হলেউরি অতিক্রমকরতে হয়।এখানে সৈনিকরাতাঁবুসহ অস্থায়ীআশ্রয়ে বসবাসকরে। উরিঅতিক্রম করতেকামান পোস্টইএকমাত্র আউটপোস্ট, যেখানে পাকিস্তানেরঅভ্যন্তরে যাওয়ারবাসস্ট্যান্ড। খঙঈপার হলেইবাস পাওয়াযায়। আরপাকিস্তানি ট্রাকগুলোভারতে, অর্থাৎউরিতেই আসেবিভিন্ন দ্রব্যসামগ্রীনিয়ে। উরিশহর ঝিলামনদীর পাড়েআর বারামূল্যাজেলায়, খঙঈকাছাকাছি। উরিমোটামুটি শান্তএলাকা, যেখানেসেনাবাহিনীর (ওইএলাকার) সামাজিককার্যক্রম পরিচালিতহয়। বিগতবছরগুলোয় কাশ্মীরসমস্যা গভীরেগেলেও উরিপ্রায় শান্তছিল।
পেছনে তাকালেদেখা যাবে, সন্ত্রাসীরা খঙঈপার হয়েব্রিগেড সদরেরকাঁটাতারের বেড়াঅতিক্রম করেখুব ভোরেঘুমন্ত সৈনিকদেরওপর আঘাতহানে। তারাIncendiary বুলেট ব্যবহারকরে, যাতেতাঁবু ক্ষণস্থায়ী শিবিরেআগুন লাগে সেকারণে হতাহতেরসংখ্যা বেড়েযায়। সন্ত্রাসীদেরমিশন প্ল্যানছিল পশতুভাষায় লেখা।আর উদ্ধারকৃতম্যাপ থেকেঅনুমিত হয়যে, ফিদাইনদের(আত্মঘাতী) লক্ষ্যছিল অফিসার্সমেস। সেখানেগিয়ে নিজেদেরউড়িয়ে দেয়ারপরিকল্পনা ছিলসন্ত্রাসীদের। জানাযায়, সন্ত্রাসীরাসিপাহ--সাহাবাপাকিস্তানের (SSP) সদস্য, যাজয়শ--মোহাম্মদগ্রুপের অংশ।
চারজন ফিদাইন-আত্মঘাতীসদস্য ব্রিগেডসদরে ঢুকেইগ্রেনেড ছুড়েমারে, যাতেতাঁবু অস্থায়ী আস্তানায়আগুন ধরেযায়। সন্ত্রাসীদেরসঙ্গে সৈনিকদের ঘণ্টাগোলাগুলি চলে।এতে চারজনসন্ত্রাসীই নিহতহয়। তবেপাকিস্তান সন্ত্রাসীদের আক্রমণেরসঙ্গে তাদেরসম্পৃক্ততা অস্বীকারকরে বলে, স্বাধীনতাকামী কাশ্মীরিদেরকাজ এটা, যা ভারতেরভাষায় সন্ত্রাসী।পাকিস্তান আরওবলে, ভারতজোর করেঅস্ত্রের ভাষায়কাশ্মীরিদের স্বাধীনতাআন্দোলন দমিয়েদিচ্ছে। তারাআরও বলে, গত মাসে কাশ্মীরে৮৫ কাশ্মীরিমারা গেছে, আন্দোলনে-সংগ্রামে।আন্দোলনের সূত্রপাত, ভারতীয় বাহিনীদ্বারা নিহতহিজবুল মুজাহিদিনীরকমান্ডার বুরহানওয়ানী নিহতহওয়ার ঘটনারমধ্য দিয়ে।তারপর অনেকহতাহতের ঘটনাঘটেছে। ইতিমধ্যেভারতীয় বাহিনী১১ বছরেরকিশোর নাছিরসাফিকে গুলিকরে হত্যাকরেছে। কিশোরের জানাজায়হাজারও মানুষভারতীয় বাহিনীরকারফিউ ভেঙেরাস্তায় নেমেআসে। সাফিরসারা শরীরেছিল অজস্রপেলেট’, যা ভারতীয়বাহিনী ইদানীংব্যবহার করছে।শ্রীনগর হাসপাতালেরএক হিসাবেবলা হয়েছে, ভারতীয় বাহিনীরপেলেটবুলেটে চোখেআঘাতপ্রাপ্ত কাশ্মীরিরসংখ্যা অন্তত৭৫৬। নিউইয়র্কটাইমস লিখেছে, ২০১৬ সালবিশ্বে কাশ্মীরিআন্দোলনকারীদের নিরাপত্তাবাহিনীদ্বারা চোখধ্বংস করারবছর হিসেবেপরিগণিত হবে।ভারতীয় মানবাধিকারকর্মীরাও পেলেটবুলেট ব্যবহারনিষিদ্ধের চেষ্টাচালাচ্ছে। এবারদেখা যাক, কাশ্মীর সমস্যারমূলে কী!
হিন্দু ধর্মগ্রন্থঅনুসারে কাশ্মীরউপত্যকা ছিলএকটি লেক, যা দেবতাদ্বারা পানিশূন্যকরে তাবসবাসের জন্যব্রাহ্মণদের আহ্বানকরা হয়।১৮ শতাব্দীঅব্দি পাশতুনদুরানী সাম্রাজ্য এলাকাশাসন করে।১৮১৯ সালেশিখ শাসকরণজিত সিংকাশ্মীর দখলকরে নেন।প্রথম ইংরেজশিখ যুদ্ধের(১৮৪৬) পরলাহোর চুক্তিঅনুযায়ী ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানিকেকাশ্মীর দিয়েদেয়া হয়।প্রতিদানে গুলাবসিং জম্মুএবং কাশ্মীরেরমহারাজা হিসেবেনিজেকে ঘোষণাদেন। ১৯৪১সালের আদমশুমারিঅনুযায়ী, কাশ্মীরের৭৭% শতাংশমুসলিম, ২০ভাগ হিন্দুএবং ভাগ শিখ বুদ্ধধর্মাবলম্বী। ১৯৪৭সালে কাশ্মীরেরমহারাজ ছিলেনহরি সিং।তখনকার সরকারচাচ্ছিল, কাশ্মীরস্বাধীন দেশহিসেবে থাকুক, যাতে মুসলিম-হিন্দুমিলে দেশটিকেএগিয়ে নেয়াযায়।
পাক-ভারতবিভাগের সময়বিপুলসংখ্যক হিন্দু শিখলাহোর, রাওয়ালপিন্ডি, শিয়ালকোর্ট থেকেভারতে আসেএবং মুসলমানদেরদ্বারা ব্যাপকনিগৃহীত হওয়ারকথা প্রচারকরে, যাকাশ্মীর পরিস্থিতিসংঘর্ষময় করতেসাহায্য করে।মহারাজা নিজেওকাশ্মীরে মুসলিমনিধনে জড়িয়েপড়েন। একটিব্রিটিশ কমিশন৭০ হাজারমুসলিম হত্যারতথ্য দেয়; যা পাকিস্তান লাখবলে দাবিকরে। এরফলে লাখ কাশ্মীরিমুসলিম পাকিস্তানেআশ্রয় নেন।পরবর্তী সময়েমহারাজা ভারতেরঅন্তর্ভুক্তি চুক্তিস্বাক্ষর করেন।কেননা, পাকিস্তানকাশ্মীরে সবধরনের পণ্যসরবরাহ বন্ধকরে দিয়েছিল। নভেম্বর১৯৪৭ সালেমাউন্ট ব্যাটেনলাহোরে জিন্নাহ্রসঙ্গে কথাবলে ভারত-পাকিস্তানেরযেসব রাজ্যেরাজা-মহারাজাদেরশাসন বহালআছে, সেখানেগণভোট দিতে নাগরিকদেরসম্মতিতে ভারতবা পাকিস্তানেঅন্তর্ভুক্তিতে অথবানিজেরা স্বাধীনথাকার মতআদায়ের চেষ্টাকরেন। ভারত-পাকিস্তানযৌথভাবে জাতিসংঘেচার্টার নং৩৫ অনুসারেসংঘর্ষপীড়িত এলাকায়গণভোটের আহ্বানজানায়। ইতিমধ্যেপাকিস্তান পশতুন কাশ্মীরিদেরনিয়ে ভারতঅন্তর্ভুক্ত কাশ্মীরেবিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রশিক্ষণ অনুপ্রবেশঘটায়, যাতেকাশ্মীর পাকিস্তানেরঅন্তর্ভুক্ত হয়।
ভারত শেখআবদুল্লাহর প্রতিরোধসত্ত্বেও কাশ্মীরসমস্যা জাতিসংঘেউত্থাপন করে।২১ এপ্রিল১৯৪৮ সালেজাতিসংঘ ভারত-পাকিস্তানসমস্যার ওপরকমিশন গঠনকরে। যুদ্ধবিরতিকার্যকর করা ভারতকর্তৃক সামরিকবাহিনীর উপস্থিতিকমিয়ে আনারকথা বলে।সে থেকেআজ অব্দি৪টি যুদ্ধহয়ে গেছেভারত-পাকিস্তানেরমধ্যে (কারগিলযুদ্ধসহ)অর্থনৈতিক সামরিক ক্ষেত্রেভারত প্রভূতউন্নয়ন সাধনকরলেও আনুপাতিকহারে পাকিস্তানতেমন উন্নয়নঘটাতে সক্ষমহয়নি। তবেভারত-পাকিস্তানউভয়ই এখনপারমাণবিক শক্তিধরএবং সম্ভবতদুই দেশেরইsecond strike capability অর্জিতহয়েছে। অর্থাৎএকটি পারমাণবিকবোমার আঘাতসহ্য করেজল-স্থলযে কোনোস্থান থেকেআক্রমণকারী দেশকেআঘাত হানারসক্ষমতা অর্জনকরেছে। তাহলে তোবিপদ দুইদেশেরই। আরক্ষুদ্র পারমাণবিকবোমার আঘাতকী সাংঘাতিকহয়, তাজাপানের হিরোশিমা নাগাসাকিশহর দুটোদেখলেই বোঝাযায়। প্রচুরজনসংখ্যা অধ্যুষিতভারত-পাকিস্তানেরক্ষুদ্র পারমাণবিকবোমা হিরোশিমায়নিক্ষিপ্ত বোমারচেয়ে সহস্রগুণবেশি ধ্বংসাত্মক।
বস্তুত ভারত-পাকিস্তানেরমিলিটারি প্রতিদ্বন্দ্বিতাএমনই যে, ১৮ সেপ্টেম্বরচারজন ফেদাইনআক্রমণে উরিরব্রিগেড সদরে১৮ সেনারমৃত্যু ৩৫ সদস্যেরগুরুতর আহতহওয়ার ঘটনারমধ্য দিয়েইশেষ হয়েযায় না।২৯ সেপ্টেম্বরভারতের কমান্ডোরাপাকিস্তানের অভ্যন্তরেতাদের মতেসন্ত্রাসীদের আস্তানায়ঢুকে হতাহত আবাসস্থলধ্বংস করেফেরত এসেছেবলে জানান।বর্তমানে পাকিস্তান ভারতউভয়েরই সংকুচিতকয়েকটি মাত্রঅপশন রয়েছে।যেমন- . গোলন্দাজ বাহিনীদিয়ে অপরপক্ষেরঅবস্থান দুর্বলকরা এবংবাংকারে আবদ্ধরাখা। . বিশেষ প্রশিক্ষিতবাহিনী দিয়েঅপর দেশেরঅভ্যন্তরে নির্দিষ্টটার্গেটে আক্রমণএবং তাধ্বংস করেফেরত আসা।এতে হেলিকপ্টারসহবিশেষ সরঞ্জামব্যবহ্নত হয়।. সুবিধাজনকটার্গেটে LOC-এরঅঞ্চল হঠাৎপ্রচণ্ড আক্রমণকরে সেটাঅপর দেশেরভেতরে নিয়েযাওয়া। . LOC-তেপ্রতিনিয়ত গোলাবর্ষণ শীতেরআগেই Logistic এবং Reinforcement কষ্টকর করেদেয়া।
এসবের মধ্যেআন্তর্জাতিক মহল বিশ্বমিডিয়ামোটামুটি পাকিস্তানকেঅবিশ্বস্ত, হঠকারী, বেলুচিস্থানে অস্ত্রেরমাধ্যমে আন্দোলনদমানো কাশ্মীরে আন্দোলনকারীদেরসাহায্য ইন্ধন জোগানোদেশ বলেঅভিযোগ তুলেছে।অন্যদিকে ভারতঅধিকৃত কাশ্মীরেগণহত্যা হচ্ছে, গুলি-পেলেটগান দিয়েকাশ্মীরিদের অন্ধ চিরকালেরজন্য বিকলাঙ্গদেয়ার অভিযোগতুলেছে পাকিস্তান।কাশ্মীরে পর্যন্ত বছর ১০৫জনের অধিকনিরস্ত্র আন্দোলনকারীভারতীয় বিভিন্নবাহিনীর হাতেনিহত হয়েছেন।পেলেটগান ব্যবহারেঅন্ধ হয়েছেপ্রায় ৩০০কিশোর-যুবক।অন্যদিকে ভারতপাকিস্তানকে সন্ত্রাসীদেরমদদদাতা হিসেবেপ্রচার করেপ্রতিটি আন্তর্জাতিকসংস্থায় একঘরেকরতে সচেষ্ট।
পাকিস্তানসহ পৃথিবীর৯টি দেশেপারমাণবিক বোমাআছে। একটিহিসাব অনুসারে, পারমাণবিক বোমাবহনকারী মিসাইল/বোমারসংখ্যা আমেরিকার,৯৭০টি, রাশিয়ার ,৩০০টি, যুক্তরাজ্যের ২১৫টি, ফ্রান্সের ৩০০টি, চীনের ২৬০টি, ভারতের ১১০-১২০টি, পাকিস্তানের ১২০-১৩০টি, উত্তর কোরিয়ার১০টি, ইসরাইলের৮০টি, ইরানেরকোনোরকম পরীক্ষাএখনও হয়নি।এছাড়া বেলজিয়াম, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস এবংতুরস্কে পারমাণবিকবোমা মওজুদআছে, যামওজুদকারীরা এসবস্থান থেকেতা ব্যবহারকরতে পারবে।
একটি হিসাবমতে, পাকিস্তানেরযে ১৩০টিপারমাণবিক বোমাব্যবহারের জন্যতৈরি আছে, তা যেকোনো পারমাণবিকযুদ্ধে নিরাপদেব্যবহারের ব্যবস্থানেয়া আছে।দ্বিতীয়ত, আন্তর্জাতিকসংস্থাগুলো বলছে, পাকিস্তানের অন্তত৬টি গোপনঅবস্থান আছে, যেখানে পারমাণবিকবোমা মওজুদআছে। সবচেয়েদেখার ব্যাপারহল, পাকিস্তান'No first use doctrine' অনুমোদনবা গ্রহণকরেনি। বরংভারতের বৃহৎসশস্ত্র বাহিনীএবং জল, স্থল এবংআকাশপথে তাদেরব্যাপক ক্ষমতাথাকায় যেকোনো আক্রমণেভারতের বিরুদ্ধেপ্রথমেই পারমাণবিকবোমা ব্যবহারেরকথা বলেআসছে। ভারত-পাকিস্তানের,৮০০মাইল বর্ডার, অল্প সময়েঅনেক যুদ্ধ, ধ্বংস ক্ষয় দেখেছে।এতে ক্ষতিগ্রস্তহয়েছে দুটিদেশের জনগণ, অর্থনীতি নিরাপত্তা। পাকিস্তানেরNCA (National Command Authority) প্রধানমন্ত্রীপ্রধান এবংজয়েন্ট চিফঅব স্টাফকমিটি নিয়েপারমাণবিক শক্তিরব্যবহার নির্ধারণকারীসংস্থা। তবেএটা সত্য, ভারত-পাকিস্তানউভয় দেশইঅস্থিতিশীল হলেপারমাণবিক বোমারসংরক্ষণ নিরাপত্তা নিয়েআন্তর্জাতিক শংকাবেড়ে যায়।
ভারত-পাকিস্তানপারমাণবিক ইস্যুতেকয়েকটি চুক্তিকরেছে। . ১৯৮৯ সালেএকে অন্যেরপারমাণবিক স্থাপনায়আঘাত হানবেনা বলেসম্মত হয়েছেএবং প্রতিবছর জানুযারিতেদুই দেশনিজেদের স্থাপনারতথ্য একেঅপরকে প্রদানকরে আসছে।. ২০০৫সালে ব্যালাস্টিকমিসাইল টেস্টচুক্তিতে দুটিদেশই পরীক্ষারসময় স্থান একেঅপরকে জানিয়েআসছে। . দুটি দেশই২০০৪ সালেঅন্য একটিচুক্তিতে হটলাইনস্থাপনের মাধ্যমেযে কোনোদুর্ঘটনার তথ্যএকে অন্যকেদ্রুত জানাবে; যাতে কেউপারমাণবিক শক্তিব্যবহৃত হয়েছে, এমন মনেনা করে।
খঙঈ বরাবরযে কোনোবোমাবর্ষণ এবংপাল্টা বোমাবর্ষণেরঘটনায় ভারতেরচেয়ে পাকিস্তানেরহতাহতের সংখ্যাবেশি। কেননাখঙঈ রেখারপাকিস্তান দিকেবেসামরিক জনগণেরবসতি রয়েছে; কিন্তু ভারতঅংশে সেতুলনায় বেসামরিকজনগণের উপস্থিতিকম। অন্যদিকেভারত-পাকিস্তানেরক্ষমতাসীন সরকারেরনীতি এবংভারত-পাকিস্তানেরসশস্ত্র বাহিনীরতৎপরতা প্রকাশেরবিষয়টিও এখনব্যাপক প্রচারণারব্যাপার। একেঅন্যকে কতটুকুঘায়েল করল, তা উভয়দেশে ব্যাপকআগ্রহ বিশাল প্রচারণায়জনগণের সামনেউপস্থাপিত করাহয়। তবেউভয়েই তাদেরসীমারেখা জানেএবং তাদেরসরকারের স্বাচ্ছন্দ্যেরব্যাপারে সজাগ।অনেক পণ্ডিতবলেন, ভারতেরসশস্ত্র বাহিনীযেমন রাজনৈতিকসিদ্ধান্তের আবর্তেকাজ করে, ততটা পাকিস্তানেরসশস্ত্র বাহিনীনয়। পাকিস্তানসশস্ত্র বাহিনীবিশেষত সেনাবাহিনীরসিদ্ধান্ত ত্বরিত।
ভারত-পাকিস্তানউভয় দেশেরপারমাণবিক বোমাগুলোবিভিন্ন গোপনস্থানে, ব্যাপকপ্রতিরক্ষা সংবলিতএলাকায় সুনিয়ন্ত্রিতআছে। দুটিদেশই পারমাণবিকবোমা ব্যবহারেরফলাফল কী- তা জানে।বায়ুতে তাকিরূপ ভয়ানকবিস্তার ঘটাবে, পানির চলমানস্রোতে তাকতদূর গড়াবে, কত বছরধরে আক্রমণস্থানে কিছুস্থাপন, রোপণ উৎপাদনসম্ভব হবেনা, স্বাস্থ্যঝুঁকি চিকিৎসা ব্যয়কত হাজারগুণবেড়ে যাবে, তা তারাজানে। বস্তুতকোনো দেশেরসামরিক কমান্ডারইচান না, তার সময়েএমন ঘটনাঘটুক, যেজন্যইতিহাস তাকেপরিহাস করবে।দেশের শাসকরাওঠিক তদ্রূপ।ছোট একটিআণবিক বোমারআঘাতে জাপানপর্যুদস্ত হয়েছিল।এখনও হিরোশিমা, নাগাসাকিতে বিকলাঙ্গশিশু জন্মনিচ্ছে। আরতার চেয়েহাজারগুণ ক্ষমতাশালীবোমার আঘাতেভারত-পাকিস্তান তৎসংলগ্নএলাকাগুলোর কীহবে, তাসহজেই অনুমেয়।
আন্তর্জাতিক সম্পর্কেরক্ষেত্রে প্রকৃতপক্ষেকেউই স্থায়ীবন্ধু বাস্থায়ী শত্রুনয়। ভারত-পাকিস্তানআমাদের কাছেরপ্রতিবেশী। ভারত-পাকিস্তানদুটি দেশইসামরিক শক্তিতেবাংলাদেশের তুলনায়অনেক বড়।সেজন্য এইদুটি দেশেঝড় উঠলেআমাদের স্বার্থক্ষুণ্ণ হওয়ারআশংকা দেখাদেয়। ঝড়থামার পরতার ধ্বংসলীলাপরিস্ফুট হয়।তখন যেনআমাদের নিজদেশের নাগরিক আন্তর্জাতিকসম্প্রদায়কে সরিবলতে নাহয়। সেরকমএকটি সুন্দর, গঠনমূলক বাংলাদেশকেন্দ্রিক পররাষ্ট্রনীতিআমাদের দরকার।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেলজাহাঙ্গীর আলম(অব.) : তুরস্কেদায়িত্ব পালনকারীসাবেক সামরিকঅ্যাটাশে
Powered by Blogger.