এটিইও নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন
প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে সহকারী থানা শিক্ষা অফিসার এটিইও পদের নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন পরীক্ষায় অংশ নেয়া চাকরিপ্রার্থীরা। শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শাহবাগে এক মানববন্ধন থেকে সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) প্রতি এ দাবি জানান তারা। এসময় তাদের হাতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ছিল।
প্ল্যাকার্ডে লেখা- ফেসবুকে প্রশ্ন কেন? সরকার জবাব দিন। প্রশ্ন ফাঁস হলেও শিক্ষকরা চুপ কেন? সাধারণ শিক্ষার্থীদের শেষ আশ্রয়স্থল পিএসসি আজ দুর্নীতিগ্রস্ত। আমরা যাবো কোথায়? পিএসসির প্রশ্ন ফাঁস কেন? জবাব চাই। দুর্নীতিমুক্ত পিএসসি চাই।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, পরীক্ষার আগেই ৯০০/১০০০ প্রশ্নের একটি শিট বের হয়, যা বিভিন্ন চক্রের মাধ্যমে অনেক শিক্ষার্থীর হাতে পৌছে যায়। পরীক্ষা শেষে দেখা গেছে সেখান থেকে ১০০ টি প্রশ্নই কমন পড়েছে। যা নজিরবিহীন ঘটনা। পাশাপাশি, কিছু কেন্দ্রের ভেতরে গিয়ে পরীক্ষার্থীদের কাছে মোবাইল দিয়ে আসার অভিযোগও করেন অনেকেই। কিন্তু ওই কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করা শিক্ষকরা প্রতিবাদ করেননি বলেও অভিযোগ করা হয়।
শুক্রবার রাত থেকেই পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। নিয়োগবিজ্ঞপ্তি ডট কমে পরীক্ষা শেষে রাতেই প্রশ্নপত্র এবং যে নোট থেকে কমন পড়েছে তার প্রমাণসহ প্রকাশ করা হয়।
পিএসসির প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার কারণে অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েন। অনেকেই স্ট্যাটাস দেন, পিএসসি বেকার যুবকদের কাছ থেকে পরীক্ষার ফি বাবদ কোটি কোটি টাকা নিলেও প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে পারছে না।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিএসসি'র এক পরিচালক বলেন, একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন থেকেই নিষ্ক্রিয় ছিল। সম্প্রতি তারা আবার সক্রিয় হয়ে ওঠেছে। তারা পুরোপুরি কোনো পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করে না। তারা পিএসসির বাছাই তালিকা থেকে সম্ভাব্য এক-দেড় হাজার প্রশ্ন ফাঁস করে। অনেক সময় দেখা যায় এখান থেকে প্রশ্ন হুবহু কমন পড়ে যাচ্ছে।’